এআই এজেন্টের ব্যবহারে গোপন তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি, সতর্কতার পরামর্শ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার প্রতিষ্ঠানের কাজের গতি বাড়ালেও এটি নতুন নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করছে। সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানিয়েছেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত এআই এজেন্ট অনেক সময় অসাবধানতাবশত ব্যবহারকারীর গোপন তথ্য প্রকাশ করে ফেলছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এআই এজেন্টগুলো যখন শেয়ারপয়েন্ট, গুগল ড্রাইভ, অ্যামাজন এসথ্রি বা নিজস্ব তথ্যভান্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত থাকে, তখন অনেক সময় ব্যবহারকারীর সংবেদনশীল তথ্য ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে যায়। এমনকি গুগল ড্রাইভসহ বিভিন্ন উৎস থেকে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময় এআই এজেন্ট ভুল ব্যক্তির কাছে গোপন তথ্য পাঠিয়ে দিতে পারে।

এ ধরনের তথ্য ফাঁসের পেছনে প্রধান কারণ হলো ভুল কনফিগারেশন, অপ্রয়োজনীয় অনুমতি প্রদান এবং লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের (এলএলএম) আউটপুটের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা। এআই এজেন্ট যদি অভ্যন্তরীণ বেতনকাঠামো, পণ্যের নকশা বা বাজারে না আসা নীতিমালার তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ করে, তবে এর ক্ষতিকর প্রভাব দীর্ঘমেয়াদি হতে পারে। প্রসঙ্গত, এআই চ্যাটবটগুলো দ্রুত প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হলেও সব তথ্য সহজে পাওয়া যায় না। এ সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ব্যবহারকারীদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড এআই এজেন্ট তৈরির সুযোগ দিচ্ছে। এসব এজেন্ট দৈনন্দিন কাজের পাশাপাশি গ্রাহকদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য সরবরাহ করে। তবে এর ব্যবহারে সতর্কতা না মানলে গোপন তথ্য ফাঁসের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন, এআই এজেন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সঠিক কনফিগারেশন নিশ্চিত করা, অপ্রয়োজনীয় অনুমতি প্রত্যাহার করা এবং সংবেদনশীল তথ্যের ব্যবহার সীমিত করা অত্যন্ত জরুরি। এটি নিশ্চিত করবে যে প্রযুক্তি সুবিধার হাতিয়ার হিসেবে কাজ করবে, ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে না। **সংযোজন:** এইচএসসি পরীক্ষার চতুর্থ দিনে নকলের অভিযোগে ৪৩ পরীক্ষার্থী ও ৪ শিক্ষককে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ইংরেজি প্রথম পত্র, হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন ও অর্থনীতি বিষয়ের পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। এদিন ২৪ হাজার ৩০৩ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।

**সূত্র:** দ্য হ্যাকার নিউজ