স্মার্টফোন ধীরগতির হচ্ছে? এই পাঁচ উপায়ে ফিরিয়ে আনুন আগের গতি


ঢাকা, ১৯ জুলাই ২০২৫: স্মার্টফোন এখন শুধু কল বা বার্তা পাঠানোর যন্ত্র নয়, এটি আমাদের প্রাত্যহিক কাজ, বিনোদন, কেনাকাটা থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগের এক অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে। তবে নিয়মিত ব্যবহারে স্মার্টফোনে জমা হওয়া অসংখ্য তথ্য এবং একাধিক অ্যাপের কারণে ফোন প্রায়ই ধীরগতির হয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকে নতুন ফোন কেনার কথা ভাবলেও সামান্য কিছু পরিবর্তন ও সচেতন ব্যবহারে পুরোনো ফোনকেই আগের মতো দ্রুতগতির করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, এখানে পাঁচটি কার্যকর উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনার স্মার্টফোনের গতি ফিরিয়ে আনতে সহায়ক হবে।

**১. ব্যাকগ্রাউন্ডে চলা অ্যাপ নিয়ন্ত্রণ করুন**
অনেক অ্যাপ ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকে। নোটিফিকেশন পাঠানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে এসব অ্যাপ ফোনের প্রসেসরে বাড়তি চাপ সৃষ্টি করে। ফলে ফোন ধীরগতির হয় এবং ব্যাটারি দ্রুত নিঃশেষ হয়ে যায়। ফোনের সেটিংসে গিয়ে কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চলবে এবং কোনটি বন্ধ থাকবে, তা নির্ধারণ করলে প্রসেসরের চাপ কমে। এতে ফোনের গতি বাড়ে এবং ব্যাটারির আয়ু বৃদ্ধি পায়।

**২. ক্যাশে মেমোরি পরিষ্কার করুন** অ্যাপ ব্যবহারের সময় সাময়িক ডেটা ক্যাশে মেমোরি হিসেবে ফোনে জমা হয়। প্রাথমিকভাবে এটি কাজে লাগলেও সময়ের সঙ্গে এই জমা ডেটা ফোনের জন্য বাড়তি বোঝায় পরিণত হয়। অনেক ফোনে অ্যাপ-ভিত্তিক ক্যাশে পরিষ্কারের সুবিধা থাকে, আবার কিছু ফোনে সিস্টেম লেভেলে ক্যাশে মুছে ফেলার অপশনও রয়েছে। নিয়মিত ক্যাশে মুছে ফেললে ফোন হালকা হয় এবং অ্যাপ চালু ও ব্যবহারে গতি ফিরে আসে। **৩. অব্যবহৃত অ্যাপ মুছে ফেলুন** প্রয়োজনের তাগিদে ডাউনলোড করা অনেক অ্যাপ পরে আর ব্যবহার করা হয় না। এসব অব্যবহৃত অ্যাপ ফোনের স্টোরেজ দখল করে এবং গতি কমিয়ে দেয়। বর্তমানে অনেক স্মার্টফোনে অব্যবহৃত অ্যাপ শনাক্ত করার ফিচার রয়েছে। সেটিংসে গিয়ে এই অ্যাপগুলো মুছে ফেললে স্টোরেজ খালি হয় এবং ফোন তুলনামূলকভাবে দ্রুত কাজ করে। **৪. নিয়মিত সফটওয়্যার আপডেট করুন** স্মার্টফোন নির্মাতারা নিয়মিত অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট প্রকাশ করে। এসব আপডেটে পারফরম্যান্স উন্নত করার পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। অনেকে ডেটা খরচের ভয়ে আপডেট এড়িয়ে যান, যা ফোনের গতি ও স্থিতিশীলতার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সময়মতো আপডেট ইনস্টল করলে ফোন দ্রুততর ও নিরাপদ থাকে। **৫. ব্যাটারির সঠিক ব্যবস্থাপনা করুন** ফোনের গতি নির্ধারণে ব্যাটারি ব্যবস্থাপনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্ক্রিনের উজ্জ্বলতা বেশি থাকলে বা ‘অলওয়েজ অন ডিসপ্লে’র মতো ফিচার চালু থাকলে প্রসেসরের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, ফলে ফোন ধীরগতির হয়। ব্যাটারি সেভার মোড চালু রাখা, উজ্জ্বলতা প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা এবং ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যক্রম সীমিত করলে ফোনের প্রসেসরের ওপর চাপ কমে এবং এটি আরও স্থিতিশীলভাবে কাজ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সহজ পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করলে ব্যয়বহুল নতুন ফোন কেনার প্রয়োজন ছাড়াই পুরোনো স্মার্টফোনের গতি ও কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তাই আজই এই উপায়গুলো প্রয়োগ করে আপনার ফোনকে আগের মতো গতিশীল করে তুলুন।

0 Comments:

Post a Comment

Designed by OddThemes | Distributed by Gooyaabi